প্রতিবাদের আড়ালে
-রীণা চ্যাটার্জী
সুধী,
কেমন যেন অদ্ভুত এক সময়! প্রতিবাদ, প্রতিবাদের ভাষা সবকিছুই কৌলিন্য হারিয়েছে, আমরা কি ফিরে যাচ্ছি সেই অন্ধকার যুগে? যেখানে হানাহানি, ছিনিয়ে নেওয়া ছিল জীবন জীবিকার শেষ কথা।
কিন্তু আমাদের জীবিকা তো সভ্যতার মুখোশে… তাহলে! মৃত্যু সবসময় স্তম্ভিত করে, স্তব্ধ করে দেয়, কিন্তু আমরা দেখলাম অসভ্যতামি। একদম সত্যি বলছি- আমার মনে হয়েছিল কি অসভ্য এরা এইসময় এতো কোলাহল, এতো অশ্রাব্য ভাষার প্রতিযোগিতা, কাদের মাঝে আছি? এই কি শ্রদ্ধা? এটাই ভালোবাসা? না কি সবটাই স্রোতের মুখে জনপ্রিয়তা কেনার সস্তা প্রচেষ্টা? তারপর মনে হলো ভেড়ার পাল আবার নতুন খবর পেলেই ভ্যা ভ্যা করে দৌড়ে যাবে, মৃত্যুর স্তব্ধতা ওদের স্পর্শ করবে কি করে? কিশোর বেলায় দেখতাম দুরদর্শনে পুনঃপ্রচার হতো “অনুষ্ঠান প্রচারে বিঘ্ন ঘটায় দুঃখিত” এরা ঠিক সেই বিঘ্নকারক প্রাণী। তখন দুরদর্শন ছিল সাদা-কালোর যুগে, এরা বড়ো রঙীন- তফাৎ এইটুকুই বাকিটা বিঘ্নকারক।
যে প্রতিবাদ আমার তিলোত্তমা নতুন দেখছে তা হলো "স্বখাত সলিল" ওখানেও একদল শুঁকছে, একদল ধুঁকছে- ভবিষ্যত জানা নেই। শুধু বুঝতে পারি এ তো আমাদের ভরসা ফল, বিশ্বাসের ফল, বাকিটা কারসাজি, তবু ডুবতে আমাদেরই হবে…
একটু অন্য কথা-
আলাপী মন ওয়েব ম্যাগাজিনের তিনটি মুদ্রণ প্রকাশ “প্রতিশ্রুতি”, “বোধন” ও “অবলোকন”। “অবলোকন” প্রকাশিত হবার পরেই অতিমারীর কবলে পড়ে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। স্তম্ভিত জীবন ধীর লয়ে স্বাভাবিকের পথে হাঁটলেও আশঙ্কার মেঘ এখনো মাঝে মাঝে ভয় দেখায়। ভয় যেমন আছে, ইচ্ছেগুলোও তো মনের কোণে বাসা বেঁধে আছে। ছাপা অক্ষরের ঘ্রাণে সিক্ত হয়নি আলাপী মন বেশ কয়েকটি ঋতু। ছাপা অক্ষরের ঘ্রাণ নিতেই আবার এক ছোট্ট প্রয়াস- শারদীয়া সংখ্যার মুদ্রণ প্রকাশ আলাপী মন-এর “স্বজন সাথী” সাহিত্যিকদের লেখনী সম্ভার নিয়ে।
নিত্য লেখনী সম্ভারে যাঁরা আলাপী মনকে ঋদ্ধ করেছেন তাঁদের অফুরান ধন্যবাদ জানাই। যথাশীঘ্র সম্ভব তাঁদের সাথে যোগাযোগ করা হবে, আনন্দ ভাগ করে নিতে।